পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার পানপট্রিতে গতকাল ৩০শে নভেম্বর রাত আনুমানিক ১১:৫০ ঘটিকার সময় পানপট্টি এলাকায় র‍্যাব অভিযান চালিয় মোঃ লিখন শিকদার (২৪)কে ম্যাগনেট পিলারসহ প্রতারণা চক্রের সক্রিয় সদস্যকে গ্রফতার করে র‌্যাব-৮ পটুয়াখালীর একটি চৌকস টিম ।

এসময় তার নিকট থেকে একটি পিলার জব্দ করা হয়,গ্রেফতারকৃত মোঃ লিখন শিকদার, পানপট্রি এলাকার মোঃ হালিম শিকদার এর ছেলে । উল্লেখ্য যে, আসামী লিখন পটুয়াখালীসহ আশেপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত কথিত ম্যাগনেট পিলার দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। কথিত আছে এই পিলার একটি অতি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন চুম্বক যা তৈরি করা হয়েছিলো বৃটিশ আমলে।

এই পিলারের গায়ে খোদাই করে লেখা আছে ঊঅঝঞ ওঘউওঅ ঈঙগচঅঘণ “১৮১৮”। প্রচলিত আছে একটি পিলারের মূল্য কোটি টাকার উপরে। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বড় ব্যবসায়ীদের কৌশলে নিজ এলাকায় নিয়ে আসে। হ্যান্ড গ্লাভস, চশমাসহ বিভিন্ন বেশ ধারণ করে আকর্ষণীয় সব কৌশল অবলম্বন করে প্রমান করার চেষ্টা করে যে, এটি অনেক ক্ষমতা সম্পন্ন এবং এটি আসল পিলার।

কখনো পিলারকে পানিতে ছেড়ে দিয়ে, ফয়েল পেপার বা টপ দিয়ে মুড়িয়ে, কখনো বা বালতিতে রাখে।  পিলার উদ্ধারের পর স্থানীয় স্বর্ণকারের মাধ্যমে র‍্যাব নিশ্চিত হয় যে, এটি পিতলের তৈরি এবং খুব বেশি দিন আগের নয়। এটি একটি ধাতব দ্রব্য মাত্র যার কোন অলৌকিক চুম্বকীয় ক্ষমতা নেই। এই পিলার প্রতারণা চক্রের ফাদে পা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন অনেক ব্যবসায়ী, সর্বস্ব হারিয়ে  পথে বসেছেন অনেকে সাধারণ মানুষ।

এরই প্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব-৮ এর একটি চৌকস দল পটুয়াখালী র‍্যাব-৮ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার মোঃ রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পিলার প্রতারণা চক্রের হোতা লিখন শিকদারকে আটক করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী তার অপরাধ স্বীকার করে এবং তার নামে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনর ২৫ (খ) ধারায় গলাচিপা থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামীকে  জেলার গলাচিপা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।